শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রিপন শীল নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবু জাহিরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকালে নিহত রিপন শীলের মা রুবি রানি শীল বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আবু জাহিরের ছেলে ইফাদ জামিলসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, সহ-সভাপতি সামছুল হক, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ ও নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি, লাখাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছালেক মিয়া, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, সাবেক এমপি আবু জাহিরের পিএস সুদীপ দাশ, হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান শামীম, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান হিরো, বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ মিয়া, তার ভাই জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আশিক মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউপি চেয়ারম্যান আদিলুর রহমান জজ মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান খান তুহিন, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায়, হবিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর গৌতম রায় ও জাহির মিয়া, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন কলি, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম সর্দার, সদর উপজেলার বহুলা এমপি আবু জাহির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ ও যুবলীগ নেতা আলাই চৌধুরী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর আলম জানান- মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে হবিগঞ্জে মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি তিনকোণা পুকুর পাড় এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে গুলি ছুড়ে। এ সময় সংঘর্ষ বাঁধলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে গুলিতে রিপন শীল মারা যান।